স্থায়ী শহীদ মিনার হলো যুুক্তরাষ্ট্রের পেরিস সিটিতে

ক্যালিফোর্নিয়া স্টেটের পেরিস সিটির একটি পাবলিক হলের সম্মুখে পার্কের ভেতর নির্মিত হয়েছে শহীদ মিনার। সামনের ২১ ফেব্রুয়ারিতে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে সেখানে প্রবাসীরা ছাড়াও এলাকার ভিনদেশীরা প্রভাত ফেরীসহ নানা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। লসএঞ্জেলেস সিটি থেকে ৭১ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এক সময়ের রেলওয়ের সিটি হিসেবে খ্যাত পেরিস সিটিতে সাম্প্রতিক সময়ে হাজার দশেক বাংলাদেশি সাম্প্রতিক সময়ে বসতি গড়েছেন। প্রায় সকলেই ছিলেন লসএঞ্জেলেস অথবা ওরেঞ্জ কাউন্টিতে। পেরিস সিটি নতুনভাবে গড়ে উঠার সুযোগ নিয়েছেন সকলেই।

 

এই সিটির মোট জনসংখ্যা ৮০ হাজারের মত। নতুন বসতি হলেও বাঙালিরা নবউদ্যমে আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের পথে ধাবিত হচ্ছেন। সাথে জড়িয়ে রাখছেন বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতি এবং সংগ্রামী চেতনা। সে আলোকেই পেরিস সিটিতে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় কাঠের ফ্রেমে শহীদ মিনার তৈরী করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের কর্মসূচি চালু হয় ২০১২ সালে।

 

এ প্রসঙ্গে কম্যুনিটি লিডার মো. খলিলুর রহমান রাজু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে ইনক’ নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে মহান শহীদ দিবস উদযাপনের কর্মসূচি সূত্রেই ২০২০ সালে সিটি মেয়র মাইকেল এম ভার্গাস সমীপে একটি স্মারকলিপি প্রদান করি স্থায়ীভাবে শহীদ মিনারের জন্য। এরপরই সিটি মেয়র আমাদের আমন্ত্রণ জানান তাঁর অফিসে। আমরা ১০ জন সেখানে যাবার সময় শহীদ মিনারের একটি নমুনাও (কাঠের তৈরী শহীদ মিনার) সাথে নিয়ে যাই। তা দেখে মেয়র সম্মত হন এবং জানান, প্রচলিত রীতি অনুযায়ী সবকিছু করা হবে। মেয়রের আন্তরিকতার কারণে খুব দ্রুত সিদ্ধান্তটি হয় এবং গত সেপ্টেম্বরে শুরু হয় নির্মাণ কাজ। ব্যয় হয় ১৮৭০০০ ডলার। সিটি বিউটিফিকেশন ফান্ড থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। নির্মাণ কাজ শেষ হবার পর ২ ডিসেম্বর আমরা তা অবলোকন করি এবং সাথে ছিলেন লসএঞ্জেলেসের কন্সাল জেনারেল সামিয়া আঞ্জুম।
এর আগে সিটি মেয়রের আমন্ত্রনে যারা সিটি হলে গিয়েছিলেন তাদের প্রসঙ্গে রাজু জানান, সিটি মেয়রের সাথে এ নিয়ে আলোচনার সময় ছিলেন ‘ইন্টারন্যাশনাল মাদাল ল্যাঙ্গুয়েজ ইনক’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ খলিলুর রহমান রাজু, বর্তমান সভাপতি শহীদ আহমেদ মিঠু, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল শাহীন, সহ-সভাপতি টিটো ইসলাম, অ্যাম্বাসেডর শওকত আলম, কনভেনর সাঈদ হিমু, জনসংযোগ সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল, উপদেষ্টা সাইফুর ওসমানী জিতু, ইসমাইল হোসেন এবং মোহাম্মদ আলী।

 

প্রাণবন্ত আলোচনায় সকলেই অভিভূত হই মেয়রের মাতৃভাষার প্রতি টান দেখে। মেক্সিকান আমেরিকান এই মেয়র বলেন, মাতৃভাষার জন্য সংগ্রামের পথ বেয়ে বাঙালিরা স্বাধীন একটি ভূখণ্ড লাভ করেছেন-এটি ইতিহাসে বিরল ঘটনা। বাঙালির এই ত্যাগের কথা সকল ভাষা-ভাষী মানুষকে জানানোর প্রয়োজন রয়েছে ভীষণভাবে। এই শহীদ মিনার হয়ে উঠবে সেই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। এছাড়া, এটি পাবলিক লাইব্রেরী চত্বরে নির্মিত হওয়ায় ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের কৌতুহলের অবসানও ঘটাতে সক্ষম হবে।

 

উল্লেখ্য, নিউজার্সির প্যাটারসন এবং টেক্সাসের হিউস্টনে ইতিপূর্বে নির্মিত হয়েছে স্থায়ী শহীদ মিনার। নিউইয়র্ক সিটিতে ৩ লাখের বেশী প্রবাসী থাকলেও আজ অবধি স্থায়ী একটি শহীদ মিনারের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। মিশিগানের হেমট্রমিক সিটিতে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে এবং কম্যুনিটি ঐক্যবদ্ধ থাকলে শীঘ্রই সে প্রত্যাশা পূরণ হবে বলে সকলে আশা করছেন। লসএঞ্জেলেস সিটিতে বহুবছর আগে ‘লিটল বাংলাদেশ’ স্থাপিত হলেও এখন পর্যন্ত স্থায়ী একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। তবে ভেতরে ভেতরে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন লসএঞ্জেলেস কম্যুনিটির অন্যতম নেতা কাজী মশুহুরুল হুদা।

এনাহেইম স্কুল ডিস্ট্রিক্টে ২১ ফেব্রুয়ারি
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রচেষ্টার সুফল হিসেবে এনাহেইম স্কুল ডিস্ট্রিক্ট (Anaheim School District in Orange County, California) ২১ ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ক্যালেন্ডার ডে হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৭ নভেম্বর এনাহেইম স্কুল ডিস্ট্রিক্টের বোর্ড মিটিঙে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরফলে আসছে ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি মাতৃভাষা দিবসেই ২৯,০০০ শিক্ষার্থী এই দিবসের ইতিহাস এবং তাৎপর্য সম্বন্ধে শিক্ষা পাবে। আল জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বোর্ড মিটিংয়ের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা হাসান মাহমুদ সংক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে এই দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং বোর্ড মেম্বারদের এই দিবসকে ক্যালেন্ডার ডে হিসেবে ঘোষণা করার অনুরোধ জানান। বোর্ড মিটিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ক্যালিফোর্নিয়া শাখার সভাপতি নজরুল আলম এবং জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব ক্যালিফোর্নিয়ার সভাপতি আবুল হাসনাত রায়হান।

 

উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর মাসে ৬,৫০,০০০ শিক্ষার্থী সমৃদ্ধ লসএঞ্জেলেস স্কুল ডিস্ট্রিক্টও একই সিদ্ধান্ত নেয়। যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ ক্যালিফোর্নিয়া শাখা এই আহ্বান জানিয়েছিল।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» পক্ষপাতহীনভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরুন: প্রধান উপদেষ্টা

» আরেক দফা কমল স্বর্ণের দাম

» জুলাই শহীদদের প্রেরণায় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়া সম্ভব : উপদেষ্টা মাহফুজ

» জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের নামে নামকৃত চত্বর ও সড়ক উদ্বোধন

» আ. লীগ নেতারা যেন লুকিয়ে নির্বাচনে না আসে: সিইসিকে ববি হাজ্জাজ

» জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ ৩ নেতাকে অব্যাহতি দিলেন জি এম কাদের

» আমরা কখনও আপস করিনি, দেশ গঠনের এই যাত্রাতেও করব না: নাহিদ ইসলাম

» কুমিল্লায় তিন মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি

» আগামী নির্বাচনে বিএনপি ৩৯%, জামায়াত ২১%, এনসিপি ১৬% ভোট পাবে মনে করে তরুণরা

» আমরা দেশের মানুষের জন্য যা ভালো তাই করছি : ফয়েজ তৈয়ব

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

স্থায়ী শহীদ মিনার হলো যুুক্তরাষ্ট্রের পেরিস সিটিতে

ক্যালিফোর্নিয়া স্টেটের পেরিস সিটির একটি পাবলিক হলের সম্মুখে পার্কের ভেতর নির্মিত হয়েছে শহীদ মিনার। সামনের ২১ ফেব্রুয়ারিতে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে সেখানে প্রবাসীরা ছাড়াও এলাকার ভিনদেশীরা প্রভাত ফেরীসহ নানা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। লসএঞ্জেলেস সিটি থেকে ৭১ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এক সময়ের রেলওয়ের সিটি হিসেবে খ্যাত পেরিস সিটিতে সাম্প্রতিক সময়ে হাজার দশেক বাংলাদেশি সাম্প্রতিক সময়ে বসতি গড়েছেন। প্রায় সকলেই ছিলেন লসএঞ্জেলেস অথবা ওরেঞ্জ কাউন্টিতে। পেরিস সিটি নতুনভাবে গড়ে উঠার সুযোগ নিয়েছেন সকলেই।

 

এই সিটির মোট জনসংখ্যা ৮০ হাজারের মত। নতুন বসতি হলেও বাঙালিরা নবউদ্যমে আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের পথে ধাবিত হচ্ছেন। সাথে জড়িয়ে রাখছেন বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতি এবং সংগ্রামী চেতনা। সে আলোকেই পেরিস সিটিতে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় কাঠের ফ্রেমে শহীদ মিনার তৈরী করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের কর্মসূচি চালু হয় ২০১২ সালে।

 

এ প্রসঙ্গে কম্যুনিটি লিডার মো. খলিলুর রহমান রাজু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে ইনক’ নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে মহান শহীদ দিবস উদযাপনের কর্মসূচি সূত্রেই ২০২০ সালে সিটি মেয়র মাইকেল এম ভার্গাস সমীপে একটি স্মারকলিপি প্রদান করি স্থায়ীভাবে শহীদ মিনারের জন্য। এরপরই সিটি মেয়র আমাদের আমন্ত্রণ জানান তাঁর অফিসে। আমরা ১০ জন সেখানে যাবার সময় শহীদ মিনারের একটি নমুনাও (কাঠের তৈরী শহীদ মিনার) সাথে নিয়ে যাই। তা দেখে মেয়র সম্মত হন এবং জানান, প্রচলিত রীতি অনুযায়ী সবকিছু করা হবে। মেয়রের আন্তরিকতার কারণে খুব দ্রুত সিদ্ধান্তটি হয় এবং গত সেপ্টেম্বরে শুরু হয় নির্মাণ কাজ। ব্যয় হয় ১৮৭০০০ ডলার। সিটি বিউটিফিকেশন ফান্ড থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। নির্মাণ কাজ শেষ হবার পর ২ ডিসেম্বর আমরা তা অবলোকন করি এবং সাথে ছিলেন লসএঞ্জেলেসের কন্সাল জেনারেল সামিয়া আঞ্জুম।
এর আগে সিটি মেয়রের আমন্ত্রনে যারা সিটি হলে গিয়েছিলেন তাদের প্রসঙ্গে রাজু জানান, সিটি মেয়রের সাথে এ নিয়ে আলোচনার সময় ছিলেন ‘ইন্টারন্যাশনাল মাদাল ল্যাঙ্গুয়েজ ইনক’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ খলিলুর রহমান রাজু, বর্তমান সভাপতি শহীদ আহমেদ মিঠু, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল শাহীন, সহ-সভাপতি টিটো ইসলাম, অ্যাম্বাসেডর শওকত আলম, কনভেনর সাঈদ হিমু, জনসংযোগ সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল, উপদেষ্টা সাইফুর ওসমানী জিতু, ইসমাইল হোসেন এবং মোহাম্মদ আলী।

 

প্রাণবন্ত আলোচনায় সকলেই অভিভূত হই মেয়রের মাতৃভাষার প্রতি টান দেখে। মেক্সিকান আমেরিকান এই মেয়র বলেন, মাতৃভাষার জন্য সংগ্রামের পথ বেয়ে বাঙালিরা স্বাধীন একটি ভূখণ্ড লাভ করেছেন-এটি ইতিহাসে বিরল ঘটনা। বাঙালির এই ত্যাগের কথা সকল ভাষা-ভাষী মানুষকে জানানোর প্রয়োজন রয়েছে ভীষণভাবে। এই শহীদ মিনার হয়ে উঠবে সেই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। এছাড়া, এটি পাবলিক লাইব্রেরী চত্বরে নির্মিত হওয়ায় ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের কৌতুহলের অবসানও ঘটাতে সক্ষম হবে।

 

উল্লেখ্য, নিউজার্সির প্যাটারসন এবং টেক্সাসের হিউস্টনে ইতিপূর্বে নির্মিত হয়েছে স্থায়ী শহীদ মিনার। নিউইয়র্ক সিটিতে ৩ লাখের বেশী প্রবাসী থাকলেও আজ অবধি স্থায়ী একটি শহীদ মিনারের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। মিশিগানের হেমট্রমিক সিটিতে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে এবং কম্যুনিটি ঐক্যবদ্ধ থাকলে শীঘ্রই সে প্রত্যাশা পূরণ হবে বলে সকলে আশা করছেন। লসএঞ্জেলেস সিটিতে বহুবছর আগে ‘লিটল বাংলাদেশ’ স্থাপিত হলেও এখন পর্যন্ত স্থায়ী একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। তবে ভেতরে ভেতরে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন লসএঞ্জেলেস কম্যুনিটির অন্যতম নেতা কাজী মশুহুরুল হুদা।

এনাহেইম স্কুল ডিস্ট্রিক্টে ২১ ফেব্রুয়ারি
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রচেষ্টার সুফল হিসেবে এনাহেইম স্কুল ডিস্ট্রিক্ট (Anaheim School District in Orange County, California) ২১ ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ক্যালেন্ডার ডে হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৭ নভেম্বর এনাহেইম স্কুল ডিস্ট্রিক্টের বোর্ড মিটিঙে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরফলে আসছে ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি মাতৃভাষা দিবসেই ২৯,০০০ শিক্ষার্থী এই দিবসের ইতিহাস এবং তাৎপর্য সম্বন্ধে শিক্ষা পাবে। আল জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বোর্ড মিটিংয়ের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা হাসান মাহমুদ সংক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে এই দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং বোর্ড মেম্বারদের এই দিবসকে ক্যালেন্ডার ডে হিসেবে ঘোষণা করার অনুরোধ জানান। বোর্ড মিটিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ক্যালিফোর্নিয়া শাখার সভাপতি নজরুল আলম এবং জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব ক্যালিফোর্নিয়ার সভাপতি আবুল হাসনাত রায়হান।

 

উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর মাসে ৬,৫০,০০০ শিক্ষার্থী সমৃদ্ধ লসএঞ্জেলেস স্কুল ডিস্ট্রিক্টও একই সিদ্ধান্ত নেয়। যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ ক্যালিফোর্নিয়া শাখা এই আহ্বান জানিয়েছিল।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com